নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভায়। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীগণ নিজ নিজ পরিচয় তুলে ধরে পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, অফিস-আদালতের সামনে, চায়ের দোকানে এবং হাট-বাজারে ব্যানার, পোষ্টার, ফেসটুন, বিলবোর্ড এবং স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছেন।
পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার কান্ডারি হতে চান সাবেক মেয়র আওয়ামীল নেতা শফিকুল ইসলাম হবি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর উপজেলা শাখার সদস্য। তিনি পৌরসভার মধ্যবাজার এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মরহুম হরমুজ আলী বেপারীর ছেলে।
তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এম,এ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
হবি বলেন, আমি মেয়র থাকাকালীন পৌরসভার যে সকল উন্নয়ন করেছি তা বিগত ১০ বছরে করা হয়নি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বন্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে স্মৃতিসৌধ বিজয়’৭১ নির্মাণ করেছি। গৌরীপুর পৌরসভার শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সকল ধর্মীয় মানুষের কল্যানে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ও পৌরসভার সর্বস্তরের জনগণের সেবা করার জন্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার বিশ্বাস দলীয় মনোনয়ন পেলে বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্যে পৌরবাসীগণ আমাকে মেয়র নির্বাচিত করবেন। তিনি আরো বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভাকে দুর্নীতি, নারী নির্যাতন মুক্ত, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, খেলাধূলার ব্যবস্থা করাসহ পরিবেশবান্ধব পৌরসভা গড়বো, এমনকি পৌরসভার যে সকল সরকারী খাল দখল আছে তা মুক্ত করার চেষ্টা করবো, যানজট নিরসন করবো, সুষ্ঠুভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করবো, রাস্তার যে সংকট রয়েছে তা দূরীভূত করবো ও স্বনির্ভর পৌরসভা হিসেবে গড়বো এবং ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার জোড় প্রচেষ্টা চালাবো। তিনি দীর্ঘদিন থেকে সুস্থ ধারার রাজনীতি করে আসছেন। তিনি আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মেয়র পদে নির্বাচনের সুযোগ দেন তাহলে আমি গৌরীপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে উপহার দিব।”