ময়মনসিংহ আইনজীবি সমিতির ১১৬ জন এপিপি এবং এজিপিকে অব্যাহতি দেয়ায় আইনজীবিদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এঘটনায় রোববার বিকেলে সরকারি আইন কর্মকর্তা পুণ:বহাল বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আইনজীবি সমিতির ৩নং শহীদ আমিনুল ইসলাম ভবেনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যানারে মত বিনিময় সভা উল্লেখ থাকলেও আয়োজকদের মূল অনুষ্ঠান ছিল প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের।
সরকারি আইন কর্মকর্তা পুণ:বহাল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও এড. তাজুল ইসলাম খোকনের সঞ্চালনায় ও যুগ্ন আহবায়ক এড. হযরত আলী ও এড. এমদাদুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড. জালাল উদ্দিন খান, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজসহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাকাকালে কিবাবে বিএনপি জামায়াতের লোকজন সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলো তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। বক্তাদের মতে, নতুন করে নিয়োগ হওয়াদের ব্যাপারে আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ কিছুই জানেনা বলে যে কথা বলেছেন তা মূলত একধরণের সান্তনামূলক কথা হিসেবেই দেখছেন ভূক্তভোগী ১১৬জন আইন কর্মকর্তা। উপস্থিত বক্তাদের তোপের মুখে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ সকল কর্মকান্ডের সব দায় তিনি নিজে নিয়েছেন। শীঘ্রই নতুন তালিকার আলোকে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেলা আইনজীবি সমিতির সিনিয়র আইনজীবি ও সাবেক এপিপি অভিযোগ করে তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াত-বিএনপির আইনজীবিরা সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছাস প্রকাশ করছেন। যারা আওয়ামীলীগের দু:সময়ের কান্ডারী , সমিতির নির্বাচনে যেসব ত্যাগী নেতাকর্মী রাতকে দিন ভেবে কাজ করেছেন তারা আজ কোন এক স্বার্থন্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। আওয়ামীলীগের ত্যাগী আইনজীবিরা আজ অবমূল্যায়িত হতে যাচ্ছে। তিনি মাননীয় আেইনমন্ত্রীকে এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
জানাযায়, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ১১৬জন আইনজীবি এপিপি ও এজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই করলেও গত ২৫ মঙ্গলবার ৪৪জনকে এপিপি ও এজিপি নিয়োগ দিয়ে এক আদেশ জারি করে আইনমন্ত্রণালয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আদালত পাড়ায় ক্ষোভ ও উত্তেজনারি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইনজীবি সমতিরি সাধারণ সম্পাদক ১১৬ জনের সাথে নিজেও এপিপি থেকে অব্যাহতি নেন। এদিকে রোববারের কর্মসূচীতে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বিএনপি-জামায়াতের নতুন এপিপি ও এজিপিদের প্রত্যাহার করে দলীয় লোকদের নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।