শাট-ডাউন বৈঠক থেকে ট্রাম্পের ওয়াক-আউট; এখন কী হবে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম যে ১৯ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সে বিষয়ে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সাথে আলোচনায় বসলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেখান থেকে উঠে বের হয়ে যান।

হাউজ স্পিকার ন্যান্সী পেলোসী এবং সিনেট সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করার ব্যাপারে আগের অবস্থানে অটল থাকলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনা থেকে বেড় হয়ে আসেন।

ট্রাম্প এই বৈঠককে তার ভাষায় “সময়ের সম্পূর্ণ অপচয়” বলে আখ্যায়িত করেছেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো প্রায় আট লাখ মানুষ এই সপ্তাহে তাদের বেতন পাবে না।

প্রেসিডেন্ট পরে এক টুইটে ডেমোক্র্যাট দলের বড় নেতাদের উদ্দেশে লেখেন “বাই-বাই”। এদিকে হোয়াইট হাউসের বাইরে এনিয়ে দুপক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।

হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পকে বলেছেন বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারাটা একই সঙ্গে আরেকটা ক্ষতি।

তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট মনে হচ্ছে তাদের প্রতি অসংবেদনশীল হচ্ছেন। তিনি (ট্রাম্প) হয়তবা মনে করছেন তারা তাদের বাবার কাছে অর্থ চাচ্ছেন”।

চাক শুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পেলোসি যখন দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিতে রাজি হননি তখনি প্রেসিডেন্ট আলোচনার মাঝখানে উঠে চলে যান।

চাক শুমার বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) স্পিকার পেলোসিকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কি আমার দেয়াল নির্মাণের ব্যাপারে রাজি আছেন? তিনি (পেলোসি) উত্তর দেন না”

“এবং তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন তাহলে আমাদের আলোচনা করার কিছু নেই এবং তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন”।

মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট দলের নেতাদের টেলিভিশনে এক ভাষণে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়।
এই কারণে ২২ ডিসেম্বর থেকে চলমান যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম আংশিক বন্ধ অবস্থা অব্যাহত রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ বাবদ ৫.৭ বিলিয়ন বা ৫৭০ কোটি ডলার পাশ করাতে চান যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর বলে মনে করছেন ডেমোক্রাটরা।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি হতাশ কারণ ডেমোক্র্যাটরা ভালো বিশ্বাসে আলোচনা করতে রাজি ছিল না।

আরেকজন রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যককার্থি বলেছেন, তিনি ডেমোক্র্যাট নেতাদের ব্যাবহার অস্বস্তিকর মনে করেছেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top