মোবাইল ফোনে অপরিচিত নাম্বারে পরিচয়। এরপর কথা বলা। ধীরে ধীরে তা গড়িয়েছে প্রেমের সম্পর্কে। ছয় মাসের মাথায় মা-বাবার সাথে দেখা করার প্রলোভনে ফেনীতে ডেকে এনে তাকে গণধর্ষণ করে কয়েকজন বখাটে। গতকাল সকালে শহরের রামপুর সৈয়দ বাড়ি সড়কের বাসা থেকে তিন মাস পর রাজধানীর কলেজপড়–য়া ওই তরুণীকে উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য বেরিয়ে আসে। এ সময় গণধর্ষণের শিকার আরো দুই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের লোভনীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত প্রতারক প্রেমিকসহ তিন বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকার ১০ নম্বর মোল্লা ভিলার বাসিন্দা মো: মোজাম্মেল হকের কলেজপড়–য়া মেয়ের সাথে পরিচয় হয় রামপুরের সৈয়দ বাড়ি লেনের মো: কাশেম কটেজের বাসিন্দা মো: কাশেমের ছেলে কাওসার বিন কাশেম নিলয়ের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। বিগত বছরের অক্টোবরে ওই তরুণী পরিবারের সদস্যদের সাথে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যায়। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মা-বাবার সাথে দেখা করবে বলে সুকৌশলে মহিপালে তাকে নামানো হয়। এরপর সৈয়দ বাড়ির কাশেম কটেজ ১২/এ নিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। বাসায় প্রবেশের পরই চক্ষু ছানাবড়া ওই তরুণীর। বাসায় আটক আরো দুই নারী। তারা পরস্পর জানতে পারে লোভনীয় অফারে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে তাদের আনা হয়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর তাদের ওপর নেমে আসে পাশবিক নির্যাতনের খড়গ।
বন্ধু-বান্ধবদের বাসায় এনে প্রতিদিনই দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হতো। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে খবর দিলে শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহজাহান মিয়া তালা ভেঙে হানা দেয়। জিম্মি দশা থেকে তিন নারীকে উদ্ধার ও নিলয় ছাড়াও ফেনী সদর উপজেলার মধ্যম কাছাড় গ্রামের আবু ইউছুপের ছেলে সায়েম, সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের ব্রামনী বাজার গ্রামের আলী ফরহাজী বাড়ির আবুল কালামের ছেলে আালিফুল ইসলাম আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আবুল কালাম আজাদ তিন তরুণীকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত তিন বখাটেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।