মামুনুলদের লেজ কেটে দেয়ার সময় চলে এসেছে: ছাত্রলীগ সভাপতি

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, মামুনুল হক জঙ্গিবাদকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা সম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের এখনই লাগাম টানতে হবে। তাদের যে লেজ হয়েছে সে লেজ কেটে দেয়ার সময় চলে এসেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের’ আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জাতির পিতাকে না পেলে আমরা বাংলাদেশকে পেতাম না। জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে যারা কথা বলেন তারা মূর্তি আর ভাস্কর্যের সংজ্ঞাই জানেন না। আমাদের নবীজি কখনও বলেননি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে। তাহলে কীভাবে আপনারা অন্যের ধর্মকে নিয়ে খারাপ কথা বলেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেয়া হবে না।

ডাকসুর সাবেক এজিএস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, একাত্তর সালে চারটি মূলনীতির জন্য বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহীদ প্রাণ দিয়েছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষবাদসহ চারটি মূলনীতি নিয়ে নতুন করে তালবাহানা করার কিছু নেই। একাত্তর সালেই আমরা এর মীমাংসা করেছি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। আজকে আমরা মৌলবাদী তাবেদার শক্তির আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের সমাজকে রক্ষণশীলতার চাদরে আবদ্ধ করার জন্য নিগূঢ় যড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, একাত্তর সালে যাদের আমরা পরাজিত করেছি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজকে তাদের আস্ফালন। আজকে আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের বলে দিতে চাই, আমরা যেমন বাঙালি মায়ের শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে হয়ে থাকতে জানি, তেমনি মৌলবাদকে প্রতিহত করতে আকাশ থেকে বজ্র হয়েও ঝরতে জানি।

সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা বাঙালি জাতীয়তাবাদসহ সংবিধানের যে চারটি মূলনীতি রয়েছে সেটির প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনই এক। চারটি মূলনীতিকে উদ্দেশ্য করে নতুন করে তালবাহানা করার চেষ্টা করবেন না। এই চারটি মূলনীতি নিয়ে যারা ছিনিমিনি করতে চায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয় বলেন, এখন থেকে জাতির পিতাকে নিয়ে যারা কটূক্তি করবে তাদের আর ছাড়া দেয়া হবে না। কে হুকুম দিল, কে আসল না আসল তার আশায় বসে থাকা হবে না। আমরা ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ অতীতের মতো সারা ঢাকা শহর দখল করে, আন্দোলন করে বুঝিয়ে দিব আমরা ছাত্রলীগের কর্মী, শেখ হাসিনার কর্মী, বঙ্গবন্ধুর কর্মী।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক।

Share this post

scroll to top