ম্যারাডোনার জন্যই ফুটবল খেলা দেখতেন সৌরভ!

বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেছেন, ‘আমার নায়ক আর নেই। আমার পাগল জিনিয়াস চির শান্তিতে থেকো। আমি তোমার জন্যই ফুটবল দেখতাম।’

ম্যারাডোনার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় তিন দিনের শোক শুরু হয়েছে। ম্যারাডোনার সতীর্থ ওসি আরদিলস বলেছেন, ম্যারাডোনা যেভাবে সমাদৃত ও প্রশংসিত তা আজকের সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।

ম্যারাডোনা বুধবার মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর । ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তার সাবেক ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের সাথে স্থানীয় একটি ক্লাবের খেলা বাতিল করা হয়েছে। সেখানে কান্না ভেজা চোখে জড়ো হয়েছেন তার সমর্থকরা। তাদের মধ্যে আছেন তরুণরাও। যারা ম্যারাডোনার খেলাই সরাসরি দেখেননি। তাদের হৃদয়েও আসন করে নিয়েছেন ম্যারাডোনা।
সান আন্দ্রেসে ম্যারাডোনা বসবাস করতেন। লা প্লাটা শহরে করাতেন কোচিং। এ দুই স্থানে সমবেত হয়েও শোক জানাচ্ছেন ভক্ত অনুসারীরা। অনেককে শোকে মুষড়ে পড়তেও দেখা গেছে।

শোকের ছায়া নেমেছে আর্জেন্টিনা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরের নাপোলির সান পাওলো স্টেডিয়ামেও। সেখানে ম্যারাডোনার স্মরণে দীপ জ্বালানো হয়েছে। নাপোলির হয়ে ১৮৮ ম্যাচে ৮১ গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। সেখানে ভক্তরা মাস্ক পরে ফুল হাতে নিয়ে এসেছেন। কেউ কেউ চিৎকার করে কেঁদেছেন প্রিয় খেলোয়াড়ের মৃত্যুতে।

সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে তার জাদুময় পারফরম্যান্স মন ভরিয়ে দিয়েছিল ফুটবল প্রেমীদের।

ক্লাব পর্যায়ে তিনি বার্সেলোনা অধ্যায় শেষে যোগ দেন নাপোলিতে। এখানেও নিজের একক নৈপুণ্যে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে দু’টি লিগ শিরোপা জেতান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন তিনি। খেলেছেন ৪টি বিশ্বকাপে।

ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপেও ফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। তবে সেবার তারা হেরে যায় পশ্চিম জার্মানির কাছে। পরে ১৯৯৪ সালের যু্ক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।

Share this post

scroll to top