নানা বাঁক নিয়ে অবশেষে জয়ের বন্দরে ভিড়লো ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্স। ৫ রানে চিটাগং ভাইকিংসকে হারালো তারা।
শেষ মুহূর্তে রবি ফ্রাইলিংকের ব্যাটিং তাণ্ডব ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল সিলেট শিবিরে। যদি আর একটা বল বেশি থাকতো, তাহলে ম্যাচের ফলাফল হয়ত ভিন্ন হতো। কারণ প্রতি বলেই জয়ের পাল্লা দুলছিল দুই দলের দিকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ফ্রাইলিংকের ডাবল ছক্কায় জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল চিটাগং। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। কিন্তু সজোরে ব্যাট চালিয়েও বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারলেন না ফ্রাইলিংক। ফলাফল ১ বলে ৭ রান।
শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেও ম্যাচটি ড্র হতো। কিন্তু ফ্রাইলিংক ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না। ৫ রানে হারতে হলো মুশফিকের চিটাগংকে।
এর আগে প্রথম ম্যাচে ফ্রাইলিংকের ব্যাটেই জয়ের আনন্দে ভেসেছিল চিটাগং। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।
আজ সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। দুটি নিয়েছেন অরোক কাপালি।
এর আগে দুপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নামে সিলেট। শুরুতেই দ্রুত তিন উইকেটের পতন হয়। এরপর আফিফ চার-ছক্কার ঝড় তুলেন। আর তাকে তখন সঙ্গ দেন ওয়ার্নার। ২৮ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন আফিফ। তার বিদায়ের পর পুরানকে নিয়ে এগিয়ে চলেন ওয়ার্নার।
আফিফের মতো পুরানও ব্যাটে ঝড় তুলেন। ৩২ বলে তিনটি করে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে ৫২ রান করেন অপরাজিত ছিলেন।
আর অধিনায়ক ওয়ার্নার নোঙ্গর হয়ে নিজের কাজটিও করে যান। সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তিনি। ৪৭ বলে দুই বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার অনবদ্য একটি ইনিংস খেলে রবি ফ্রাইলিংকের বলে সাজঘরে ফিরেন।
আজ চিটাংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন ফ্রাইলিংক।
১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ফিরেন ৬ রানে। এরপর ওপেনার দেলপোর্টের সাথে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে এ জুটির ভাঙন ধরে। সাজঘরে ফিরে যান দেলপোর্টে। আর আশার ফুল ফুটিয়ে পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ২২ রানে ফিরে যান আশরাফুল।
এরপর ধারাবাহিক উইকেটের পতন হয়। শেষ বেলায় ক্রিজে জুটি বাঁধেন সানজামুল আর ফ্রাইলিংক। ২৪ বলে চার ছক্কা ও একটি বাউন্ডারিতে ৪৪ রানের ঝড় তোলা একটি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।