ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম (৩০) ওই শিক্ষার্থীর বাবার চাচাত ভাই। ঘটনার পর থেকে জাহাঙ্গীর পলাতক বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে উপজেলার পাগলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের কান্দি নামাপাড়া গ্রামে। তিনি কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাড়িও পাশাপাশি।
স্কুলছাত্রীর ভাষ্য, সম্পর্কে তার চাচা জাহাঙ্গীর তাকে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তাঘাট এমনকি বাড়ির আশপাশেও আপত্তিকর কথা বলে উত্ত্যক্ত করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে বসতঘরের কাছেই শৌচাগারে যায়। পরে শৌচাগার থেকে বের হওয়া মাত্রই জাহাঙ্গীর ওই শিক্ষার্থীকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে জামা ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি লজ্জায় তার উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে তার নানার বাড়িতে অবস্থান করছে।
মেয়েটির বাবার ভাষ্য, স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ঘটনার পর থেকে বিচার করে দিবেন বলে আমাদের আটকিয়ে রেখেছেন। এখন বলছেন জাহাঙ্গীরকে ধমক দিয়ে দিবেন। তাই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
ইউপি মেম্বার এমদাদুল বলেন, মেয়েটিকে বিয়ে দিতে হবে। তাই অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শাসিয়ে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছি।
কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুন নাহার বলেন, আমাকে ঘটনাটি শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দপ্তরীকে শিক্ষা অফিসে পাঠানোর জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই মামলা হবে।