ধর্ষণের অভিযোগকারী ব্লাস্ট এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে বিজিবির দায়েরকৃত ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ এর বিচারক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার মামলা নং সিআর-২৯৭/২০।
প্রতিবেদন জমার পর আসামির বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন বিচারক।
আদালতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
প্রতিবেদন জমা করে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের এডভোকেট সাজ্জাদুল করিম জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে এনজিওকর্মী বিজিবির মতো একটি বাহিনীর মানহানি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি ওঠে এসেছে। পরবর্তী ধার্য তারিখে মামলার শুনানি হবে।
গত ৮ অক্টোবর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া চেকপোস্টে অটোরিকশা যাত্রী ব্লাস্ট এনজিওকর্মী ফারজানা আক্তারকে তল্লাশি করে বিজিবি সদস্যরা।
এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই এনজিওকর্মী।
ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে গত ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফারজানা আক্তারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ৫০০ ধারায় ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করে বিজিবির নায়েব সুবেদার বাদি মোহাম্মদ আলি মোল্লা।
মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম।
রবিবার (২২ নভেম্বর) মামলার চাঞ্চল্যকর মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।