আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিশোধের রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়। আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিশোধের রাজনীতি করে না।
শনিবার সকালে মিরপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসি’র দোতলা বাস সার্ভিসের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের সবচেয়ে সহিষ্ণু রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ ৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মমতা দেখেছে, দেখেছে ৩ নভেম্বরের অমানবিকতা, গ্রেনেড হামলাসহ ২০ বারের মতো শেখ হাসিনাকে হত্যার অপপ্রয়াস চালাতেও দেখেছে। আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিশোধের রাজনীতি করে না। প্রতিশোধের রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং পরিচর্যায় গণতন্ত্র বিকশিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যে ভূমিকা দরকার তা থেকে তারা অনেক দূরে অবস্থান করে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। বিএনপি একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে অপরদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসনির্ভরতা, ষড়যন্ত্র আর হত্যার জনক বিএনপি, তারা সেটাই চর্চা করে চলেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন বলেই জনগণের সাথে ছিলো, আছে এবং থাকবে।’
সমালোচনা রুখতে না কি সরকার বিরোধীদের গুম করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার। সমালোচনা করলে গুম করা হয় এমন কোন তথ্য কি বিএনপির কাছে আছে? এ ধরনের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন পরিহার করুন।
আওয়ামী লীগ সমালোচনাকে ভয় পায় না জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গঠনমূলক সমালোচনাথেকে শিক্ষা নেয়ার সৎসাহস রাখে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুস্বাস্থ্য ও রোগমুক্তি কামনা করেন।
অদক্ষ গাড়ি চালক যেন কোনভাবেই গাড়ির ড্রাইভিং সিটে না বসতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাসের চালকসহ সব স্টাফদের বাধ্যতামূলক নির্ধারিত ড্রেস পরিধান করতে হবে। অদক্ষ চালকরা যেন গাড়ির সিটে বসতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাই শতর্ক থাকবেন।