করোনাকালে এবার নবান্নের কোন রকম উৎসব ছাড়াই নেত্রকোনা জেলার সর্বত্র শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। কয়েকদফা বন্যার পানিতে চারা গাছ নষ্ট হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ হলেও কৃষিবিভাগ বলছে ফলন ভালো হয়েছে।
তবে মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে উঁচু জমিগুলোতে ধান পেকেছে। অপরদিকে এখনো অর্ধেকের কাছাকাছি ধান গাছ কাঁচা রয়েছে। যে কারণে পর্যায়ক্রমে ধান পাকায় উঁচু জমির ধানগুলোই কর্তন চলছে।
জেলার সদর, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার উঁচু এলাকার জমিগুলোতে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়ে গেছে গত কয়েকদিন ধরেই। নারী পুরুষ নির্বিশেষে পরিবারের সকলে মিলেই মাঠে নেমেছেন ফসল তুলতে।
অনেকে শ্রমিক মুজুরি খরচ বাঁচাতে নিজেরাই মাঠে কাজ করছেন বলেও জানান ফসল তোলায় ব্যস্ত কৃষাণ কৃষাণী।
তবে কৃষকরা এবার ক্ষতির মুখেও পড়বেন বলে জানিয়েন তাদের অনেকে। শুধু খাবারের আশায়ই তারা জমি আবাদ করেছেন এ বছর।
কিন্তু নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, ফলন ভালো হওয়ায় বন্যায় কিছুটা ক্ষতি হলেও ধানের লক্ষ্যমাত্রা এবারো ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এবার ১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। তারমধ্য কয়েক দফা বন্যায় ১০ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমির চারা নষ্ট হয়েছিল এবছর। যে কারণে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ ফসল তোলার পরপরই মৌসুমি রবি শস্য ফলাতে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তুলতে মাঠে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।