মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন, উন্নয়ন এবং গবেষণার বিধান রেখে এবং সামরিক সরকারের সময়ে প্রণীত মাদ্রাসা শিক্ষা অধ্যাদশ ১৯৭৮ রহিতক্রমে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ সংসদে পাস হয়েছে। বিলে অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমাও ৬০ বছর নির্ধারণের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সংসদের স্থিরকৃত আকারে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে, তিনি বিলের ওপর আনীত তিনটি সংশোধনী গ্রহণ করেন। অপর সংশোধনী বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনো প্রয়োজন রয়েছে, সে আলোকে এতদিন ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চলে আসছিল। অধ্যাদেশটি পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে আলোকে বিলটি আনা হয়।
পাসকৃত আইনের বিলে ‘অধ্যাদেশে’ উল্লিখিত মাদ্রাসা পরিচালানা ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে একটি ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এর সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। এছাড়া
বিদ্যমান অধ্যাদেশে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিল না।
এই বিলে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিলে চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার নিয়োগ, পরিচালনা পর্ষদ গঠনসহ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরিচালনার বিস্তারিত বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়, এবতেদায়ি, দাখিল এবং আলিম পর্যায়ের সকল শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বোর্ড হতে প্রাপ্ত ইসলামি সনদধারী শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিতক্রমে বিলটি অনুমোদন করা অতীব জরুরি ও যুক্তিযুক্ত।