দ্বিতীয় ওয়েভ করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এবার মাক্স ব্যবহারের ওপর করাকরি করছে শেরপুর জেলা প্রশাসন। জনগণকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্য সচেতন করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ জন্য শুরু করা হয়েছে অভিযান। মাক্স ব্যবহার না করে ঘরের বাইরে আসলেই গুনতে হবে জেল জরিমানা।
প্রাথমিক অভিযানে কমটাকা জরিমানা ও বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিতরণ করা হচ্ছে মাক্স। আজ ১৯ নভেম্বর শেরপুর জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত করে জেলা প্রমাসন। ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের নিউমার্কেট, সজবরখিলা, খোয়ারপাড়, নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযানকালে মাস্ক না পরায় সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ আইনে ৩৯ জনকে ৯ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণসহ সচেতন করা হয়। নকলা উপজেলায় ৮ ব্যবসায়ীকে ৫০০ টাকা করে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এনিয়ে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট ৪৭ জনকে ১৩ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আল মাসুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, তামারা তাসবিহা, তাহমিনা তারিন, আকলিমা আক্তারসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় সচেতনতার বিকল্প নেই। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ রোধে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নকলা বাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ নির্বাহী বিচারক হিসেবে এ আদালত পরিচালনা করেন। তাছাড়া দোকানি, ব্যবসায়ী ও খরিদদারকে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি মাস্ক পরিধানে সকলকে সচেতন করা হয়।