নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রীরা ইতোমধ্যে শপথও নিয়েছেন। সরকারকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানরা অভিনন্দনও জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে এখনোও অভিনন্দন জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সরকারও বেশ তৎপর।
রাজনৈতিক আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। আগামী ২২ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালের সাথে তার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সাম্প্রতিক জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু, অর্থনৈতিক ও প্রতিরা সহযোগিতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে মূলত এই আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্র সচিব অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) সিনিয়র অফিসিয়াল মিটিংয়ে অংশ নেয়ার জন্য সৌদি আরব যাবেন।
সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন সরকার গঠন হয়ে গেছে এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রসহ সব অংশীদারদের সাথে কথা বলব। গত ২ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সাথে সফরের বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র সচিব।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে তাদের নির্বাচনী প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যেখানে তারা বলেছে তারা সরকার ও বিরোধী দলের সাথে কাজ করবে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে জ্বালানি খাতে। আমরা এর বহুমুখীকরণ চাই। তিনি বলেন, আমরা শুধু মার্কিন কোম্পানির জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা ভাবছি যেখানে তারা পণ্য উৎপাদন করে নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারে অথবা বাংলাদেশে বিক্রি করতে পারে।
শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্ক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সন্ত্রাসবাদবিরোধী উদ্যোগ রয়েছে বাংলাদেশের এবং এটি অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, প্রতিরা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র লজিস্টিক সার্ভিস চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং এটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আমাদের সমর্থন দিয়েছে এবং ওই বৈঠকে আমরা জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি শক্ত রেজুলেশন নেয়ার জন্য অনুরোধ করব। এ ছাড়া তারা যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে সে বিষয়ে আমাদের অনুরোধ থাকবে।