ময়মনসিংহ শহরের রামকৃষ্ণ রোডের একটি বাসা থেকে মানুষের ১২ টি মাথার খুলি ও দুই বস্তা হাড় উদ্ধারের ঘটনায় আটক বাপ্পী ও তার সহযোগী শাকিলকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামি বাপ্পীকে আদালতে প্রেরণ করা হলেও বিজ্ঞ আদালত আগামী ১৯ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। আসামি শাকিল এখনও পলাতক রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার জানান, ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামি বাপ্পীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আগামী ১৯ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। গ্রেফতারকৃত বাপ্পী অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব কঙ্কাল রোববার ভোরে জেলার হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতে পাচার করার কথা ছিল। গ্রেফতারকৃত বাপ্পী আন্তর্জাতিক পাচারকারি চক্রের একজন সদস্য। এরআগেও কঙ্কালসহ ধরা পড়ে ৬ মাস হাজতে ছিল। সেই থেকে পুলিশ তাকে নজরদারী করছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এসব কঙ্কাল পাচারের প্রস্তুতিকালে আবার সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পী পাচারকারি চক্রের কয়েকজনের নাম বলেছে। পুলিশ তাদের সবাইকে আটকের অভিযান চালাচ্ছে। চক্রের সদস্য সংখ্যা কত তা এখনো জানা যায়নি। তবে এদের কেউ মানুষ মারা গেলে কোথায় কবে কবর দেয়া হলো খোঁজ রাখে। কেউ কবর থেকে কখন কীভাবে কঙ্কাল চুরি করা যাবে তার খোঁজ রাখে। কেউ চুরি করা কঙ্কাল কবর খুড়ে তুলে এনে কেমিক্যাল দিয়ে পরিস্কার করে। একটি চক্র এসব কঙ্কাল সংগ্রহ করে দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে।