নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মধ্য চরবাগ্যা গ্রামে গৃহবধু গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ৭ আসামীর ৫ দিন করে মঞ্জুর হওয়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ সোমবার থেকে শুরু করেছে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ।
এ দিকে রবিবার গ্রেফতার হওয়া মধ্যব্যাগা গ্রামের ফকির আহমদের ছেলে সালাউদ্দিন, একই গ্রামের রফিকের ছেলে মুরাদ ও উত্তরব্যাগা গ্রামের সিদুর ছেলে আবুল খায়ের আবুকে নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলী আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন ডিবি পুলিশ।
তার আগে রোববার নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ৭ আসামীর প্রতেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নোয়াখালী ডিবির ওসি আবুল খায়ের বলেন, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসা করি একটি পজিটিভ ফলাফল দেয়া যাবে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং জুবলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট দিতে গেলে সেখানে উপস্থিত ১০/১৫ জন তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য বলে; কিন্তু ওই নারী ধানের শীষে ভোট দেন। এ নিয়ে তাদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। একই দিন রাত ১২টায় রুহুল আমিনের নির্দেশে সিরাজের বাড়িতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে ওই মহিলার স্বামী দরজা খুলে দিলে সন্ত্রাসী মোশারেফ, সালাউদ্দিন,সোহেল, নেঞ্জু, বেচু, জসিম, সোহেল, কালাম, আবু, স্বপন, আনোয়ার, বাদশা আলম, হানিফ, আমির হোসেন সহ ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী ঘরে প্রবেশ করে ঘরের অন্য সদস্যদের হাত-পা বেঁধে মহিলাকে জোর পুর্বক ঘরের বাহিরে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে চলে যায়।
এ দিকে বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৩ সদস্যের একটি দল ও বিকেলে চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ দিকে এ ঘটনার বিচারের দাবীতে নোয়াখালী সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদী টাউনহল মোড়ে এক মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে।