বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারীরা ক্ষমা না চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার রাতে শ্যামাপূজা উপলক্ষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের গোল পাহাড় কালীমন্দিরে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাম্প্রতিক ‘মৌলবাদী গোষ্ঠীর’ কর্মকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ব্যারিস্টার নওফেল আরও বলেন, এই মুষ্টিমেয় মৌলবাদী গোষ্ঠী, আমরা তাদের কাছে মাথা নত করব না। দুয়েকদিন আগে আমরা যা দেখলাম। একটি খুবই ছোট মৌলবাদী দলের একজন নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মঞ্চ কাঁপাচ্ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারে তারা কথা বলছিলেন।
‘মঞ্চ কাঁপিয়ে, ভয়-ডর সৃষ্টি করে, বড় গলায় যারা কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- মঞ্চ বেশি কাঁপাবেন না। মঞ্চ বেশি কাঁপালে পায়ের নিচের মাটিও নরম হয়ে যাবে। আপনাদের হুমকি-ধমকি এগুলো বন্ধ করুন।’
তিনি বলেন, মৌলবাদী কথা বলা, জনমনে শঙ্কা আনা এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠান, জাতির পিতার ব্যাপারে আলোচনা করার ধৃষ্টতা যারা দেখাবেন, তাদের আমরা বলতে চাই- আপনারা বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন।
‘মাঠ কাঁপিয়ে, মঞ্চ কাঁপিয়ে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাবে। এই মৌলবাদী গোষ্ঠীর দিকে আমরা বলতে চাই, আপনারা সাবধান হয়ে যান। বাড়াবাড়ি বেশি করে ফেলেছেন। আপনাদের বাড়াবাড়ি বেশি আমরা শুনছি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘাড়ে হাত রেখে বন্ধুত্বও করতে জানে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঘাড় মটকে দিতেও জানে। সুতরাং ঘাড়ে হাত দিয়ে বন্ধুত্ব করেছে বলে, সহনশীল আচরণ দেখিয়েছে বলে মনে করবেন না সেটি দুর্বলতা।’
‘দেশে হানাহানি করবে, আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বিনষ্ট করবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে- ঘাড় আমরা মটকে দেব। সুতরাং সাবধান হয়ে যান, সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। মৌলবাদের জায়গা এই বাংলাদেশ নয়।’
তিনি হুশিয়ার করে বলেন, মঞ্চ কাঁপিয়ে বেশি কথা বলা এই বাংলাদেশে আমরা সহ্য করব না। যেখানে আছেন, যতটুকু বলেছেন ক্ষমা চেয়ে সাবধান হয়ে যান। নয়তো ঘাড় মটকে দিতে বেশি সময় লাগবে না।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি।
সভাপতিত্ব করেন গোল পাহাড় মহাশ্মশান পরিচলানা কমিটির সভাপতি মাইকেল দেশ। বক্তব্য রাখেন স্বামী লহ্মী নারায়ণ কৃপানন্দ পুরী মহারাজ, সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল কান্তি দেব প্রমুখ।