২০২১ সালের জানুয়ারিতে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে পাকা বাড়ি পাচ্ছেন ময়মনসিংহের ৩ হাজার ৯২৯ পরিবার। প্রতিটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। নির্মাণে সুবিধাভোগী পরিবারকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।
প্রতিটি বাড়িতে দুটো রুম, একটা রান্নাঘর এবং রুমের পেছনে টয়লেট থাকবে। এছাড়া টয়লেট ও রান্নাঘরের মাঝামাঝি জায়গায় একটা কমন স্পেস এবং সামনের দিকে বারান্দাও থাকবে। বাড়ির ফ্লোর ও দেয়াল পাকা, ওপরে টিন থাকবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের জন্য উপকারভোগী নির্বাচন এবং গৃহ নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে গত ১৯ অক্টোবর সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। সভায় মুখ্য সচিব আগামী জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে ৫৯ হাজার ৮০৩ পরিবারকে বাড়ি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এসব ঘরের নির্মাণকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। এক হাজার ২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ৫৯ হাজার ৮০৩টি বাড়ি নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯৬৩, ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ৮৫, ময়মনসিংহের ৩ হাজার ৯২৯, রংপুরের ৭ হাজার ২৬৯, রাজশাহীর ৬ হাজার ৭৭০, খুলনার ৩ হাজার ৯৯০, বরিশালের ১০ হাজার ১৮৪ এবং সিলেট বিভাগের ৯ হাজার ৬১৩টি গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, ৫৯ হাজার ৮০৩ পরিবারের জন্য সুষ্ঠুভাবে গৃহনির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ ২ প্রকল্প, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ হাজার ৮৯২টি বাড়ি নির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগে ২৪ হাজার ৫৩৮টি গৃহ নির্মাণে আশ্রয়ণ প্রকল্পকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া রাজশাহী, সিলেট ও খুলনা বিভাগে ২০ হাজার ৩৭৩টি বাড়ি নির্মাণে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ কর্মসূচিকে। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৪৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
গত জুনের তথ্যানুযায়ী দেশের মোট ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ পরিবার রয়েছে— যাদের ভূমিও নেই, জমিও নেই। তাদের মধ্য থেকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ৫৯ হাজার ৮০৩ গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।