ময়মনসিংহ মহানগরীর আকুয়া এলাকায় ২০১৬ সালে সিটি কর্পোরেশনের ১.৪৮ একর ভূমি জবরদখল করে গড়ে উঠে ‘ডা. মুশফিকুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’। ২০১৫ সালে সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের পুত্র মুশফিকুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে এ বিদ্যালয়টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনিয়ে অন্যপ্রকার মামলা পরিচালনা করলেও সর্বশেষ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলাটি পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি খারিজ করে দিয়ে গত ১ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করে। পরে ৯ নভেম্বর সোমবার সিটি করপোরেশন বিদ্যালয়টিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখলমুক্ত করে সিটি করপোরেশনের সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়। আর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন গাফিলতির কারণে ২৬০ জন ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিতের পথে। ছাত্রীদের পাশাপাশি ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারীও ।
জানাযায়, ভূমি দখলমুক্ত করার জন্য ২০১৭ সালে পরপর তিনটি নোটিশ দেয়া হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে সহকারি জজ আদালতে অন্যপ্রকার মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৯ সালে সেই মামলাটি ধোবাউড়া সহকারি জজ আদালতে বদলী হয়।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর সব ময়লা আবর্জনা আকুয়া মৌজার এস এ ৪নম্বর খতিয়ানের ৫২৪২ ও ৫২৪৩ দাগের প্রায় চার একর জমিতে ফেলার কারণে জায়গাটি এখনও মানুষ চেনে ময়লাকান্দা হিসেবে। গত ২০১৮ সালে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার আগ পর্যন্ত জায়গাটি সাবেক পৌরসভার দখলেই ছিল। কিন্তু গত ২০১৭ সালে সাবেক ধর্মমন্ত্রীর ভাই ও আকুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ সরকার বালু ফেলে জায়গাটির প্রায় আড়াই একর জমি ভরাট করেন এবং পরবর্তীতে তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রয়াত পুত্র ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ এর নামে এই জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
এদিকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জবরদখলে থাকা ভূমি উদ্ধারের পর মানববন্ধন করেছে স্কুলটির ছাত্রীরা তাদের পড়াশুনা যাতে থমকে না যায় সেজন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধন করেছে।