যে কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি মাইন্ড এইডের পরিচালককে

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতকে ফাতেমা খাতুনের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা। এ সময় ফাতেমা খাতুনকে আদালতে হাজির করতে হাজতি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চিকিৎসা শেষে সুস্থতা সাপেক্ষে আদালতে সোপর্দ করলে ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে হাজতি পরোয়ানা ইস্যু করা হবে বলে বিচারক আদেশ দেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ফাতেমা খাতুনকে গ্রেপ্তারের পর ১২ নভেম্বর আদাবর থানায় আনা হয়। আগে থেকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। থানা হেফাজতে থাকার সময়ে ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি অধ্যাপক গোলাম আজমের অধীনে চিকিৎসাধীন।

মামলাটিতে গ্রেপ্তার হাসপাতালের আরেক পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিক এ মামলায় গত ১০ নভেম্বর ১০ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

তারা হলেন- মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, শেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন এখনো অধরা রয়েছেন।

জানা যায়, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে।

সবশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

Share this post

scroll to top