বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় কিছু দিন আগেও নাম ছিল ঢাকার। এবার সেই ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেল ময়মনসিংহের ত্রিশাল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, গতকাল বুধবার সকালে এ দুই উপজেলায় বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল ১৭৩ পিএম-২.৫। ১৫১ পিএম-২.৫ থেকে ২০০ পিএম-২.৫ মাত্রাকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়।
এর বিপরীতে ঢাকার কোনো অংশেরই বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল ১৭৩ পিএম-২.৫-এর বেশি ছিল না।
পিএম-২.৫ হচ্ছে বাতাসের অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা। বিভিন্ন কলকারখানা কিংবা যানবাহন থেকে যে কালো ধোঁয়া বের হয়, তাতে পিএম-২.৫-এর পরিমাণ বেশি থাকে।
গতকাল সকালে মানিকগঞ্জে বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল ১৫৬ পিএম-২.৫। ঢাকার মধ্যে বিটোপিতে ছিল ১৪৯ পিএম-২.৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিল ১১১ পিএম-২.৫, ইউএস অ্যাম্বাসিতে ছিল ১০৭ পিএম-২.৫। এ সময় কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল ৩৭ পিএম-২.৫।
বায়ুদূষণ বেশি হলে শিশু ও বয়স্কদের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগবালাই বেশি হয়।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান ডা. শফিক উর রহমান বলেন, বায়ুদূষণের ফলে চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানি, গলার মধ্যে চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়া ও হাঁচি-কাশি-সর্দি (অ্যালার্জিক লাইনাইটিস) দেখা দেয়। সব বয়সী মানুষই এসব রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অ্যাজমা আছে এমন মানুষের প্রধান শত্রু বায়ুদূষণ। ধুলার মধ্যে না যাওয়া এবং গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।