লা লিগার দল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের প্রাণভোমরা ছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজমান। সেখানে ৫ বছর কাটিয়ে ২০১৯ সালে ১২ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে ন্যু ক্যাম্পে নাম লিখিয়েছেন গ্রিজমান। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাতালান ক্লাবটিতে ছায়া হয়ে আছেন ২৯ বছর বয়সী এই তারকা। এই অবস্থার জন্য বার্সায় বিশৃঙ্খল পরিবেশকে দায়ী করছেন সাবেক ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিজাজু। আর তাই গ্রিজমানকে বার্সা ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লিজাজু।
‘ফ্রান্স ফুটবল’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লিজাজু গ্রিজমানকে বার্সা ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ভালো খেলার জন্য একজন খেলোয়াড়ের সবদিক থেকে ভালো পরিবেশ পেতে হয়। কোচ ও সতীর্থদের সঙ্গে বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকতে হয়। গ্রিজমানের ক্ষেত্রে আমি সেটি দেখি না। লিওনেল মেসির সঙ্গে মাঠে সে নিজেকে খুঁজে পায় না। বিভিন্ন কোচের সংস্পর্শেও সে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায় না। এমন বিশৃঙ্খলের মধ্যে, সর্বোচ্চ ছয় মাস থাকা যায়। ফুটবলের আনন্দটা কোথায়? এক্ষেত্রে চলে যাওয়াই উচিত।’
বার্সায় যোগ দেয়ার পর থেকে ২৯ বছর বয়সী এই ফরাসি তারকা এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে করতে পেরেছেন ১৭ গোল। এমনকি চলতি মৌসুমে ৯ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২ গোল, করিয়েছেন ১টি। লিজাজু গ্রিজমানের ব্যর্থতার জন্য ক্লাবের পরিবেশকে দায়ী করলেও এই ফরাসি ফুটবলারের এজেন্ট দোষ দিচ্ছেন মেসির ঘাড়ে।
‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীর সঙ্গে আলাপচারিতায় গ্রিজমানের এজেন্ট ওলহাতস বলেন, ‘গ্রিজমান সংগ্রাম করতে থাকা একটি ক্লাবে যোগ দিয়েছে, যেখানকার সবকিছুতেই মেসির মতামত রয়েছে। সে একইসঙ্গে রাজা ও সম্রাট। গ্রিজমানের আগমনকে সে ভালো চোখে দেখেনি।’
২০১৬ সাল পর্যন্ত গ্রিজমানের এজেন্ট ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন ওলহাতস। রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসিকে ন্যু ক্যাম্পে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘গ্রিজমানের প্রতি মেসির মনোভাব দুঃখজনক। আমি সবসময় গ্রিজমানকে বলতে শুনেছি যে, মেসির সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু ওপাশ থেকে এরকম কিছু কখনও শুনতে পাইনি।’
তবে বার্সার জার্সিতে খারাপ সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াবে গ্রিজমান এমনটাই বিশ্বাস করেন ওলহাতস। তার ভাষ্যে, ‘আমি তাকে ইতোমধ্যে অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছি এবং আমি জানি, এই পরিস্থিতি জয় করে সে সামনে এগিয়ে যাবে। এই ক্লাবটা (বার্সা) অসুস্থ, গ্রিজমান এখানে তাই মানিয়ে নিতে পারছে না।’