সালমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রেলব্লেজার্সের অধিনায়ক

রানটা খুব বেশি ছিল না, ১১৮। এই পুঁজি নিয়েই সোমবারের ফাইনালে দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাসকে হারানোর বিশ্বাস মনে ধারণ করেছিলেন ট্রেলব্লেজার্স অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। দলের শক্তিশালী স্পিন আক্রমণের ওপর আস্থা ছিল। তাকে আশাহত করেনি পাঁচ স্পিনার, তবে ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সালমা খাতুন। ম্যাচ শেষে তাকে প্রশংসায় ভাসালেন উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের নতুন চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে আনন্দে আত্মহারা মান্ধানা বলেছেন, ‘এটা ছিল অসাধারণ পারফরম্যান্স। আমরা স্কোরবোর্ডে ১৩০-১৪০ রান চেয়েছিলাম কিন্তু কোনো কারণে তা হয়নি। এই উইকেট ছিল ব্যাট করার জন্য কঠিন। তাই জানতাম ১২০ এর মতো সংগ্রহ হলে লড়াই করা যাবে। আমাদের আছে ভালো স্পিন আক্রমণ এবং প্রথম বল থেকে আমি ইতিবাচক ছিলাম।’

ট্রেলব্লেজার্সের ১৬ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মান্ধানা। কিন্তু সুপারনোভাসকে ৭ উইকেটে ১০২ রানে থামাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান সালমার। তার বোলিং ফিগার ছিল ৪-০-১৮-৩। ১৩তম ওভারে বল হাতে নেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, দেন ৫ রান। পরের ওভারে শশীকলা সিরিবর্দনেকে ফিরিয়ে ভাঙেন ৩৭ রানের শক্ত জুটি।

৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানো সুপারনোভাস অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ব্যাটে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ১৯তম ওভারে বাজিমাত করে দেন সালমা। নিজের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দিপ্তী শর্মার থ্রো থেকে নন স্ট্রাইকে আনুজা পাতিলকে রান আউট করেন। পরের বলে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান হারমানপ্রীতকে (৩০) বোল্ড করেন সালমা। পঞ্চম বলে পুজা বাস্ত্রকরকে শূন্য রানে সোফি এক্লেস্টোনের ক্যাচ বানান ৩০ বছর বয়সী স্পিনার।

ওই ওভারে ৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা লাগে সুপারনোভাসের ব্যাটিংয়ে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৪ রান, দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা করে ৭ রান। সালমার ছোঁয়ায় যে ম্যাচ বদলে গেছে তা মানছেন মান্ধানা। বাংলাদেশি স্পিনারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে ট্রেলব্লেজার্সের ২৪ বছর বয়সী অধিনায়ক বললেন, ‘তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ওই স্পেলগুলো ম্যাচ জিতিয়েছে। তিনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমি তাকে শুধু বলেছিলাম নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে এবং বল করেছেন। তার স্পেল ছিল বিজয়ী স্পেল।’

দলের তিন ম্যাচের প্রত্যেকটি খেলেছেন সালমা, সব মিলিয়ে ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।

Share this post

scroll to top