নীলফামারীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আমিরুল ইসলাম ইমনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার(১০ নভেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও আসামিপক্ষে আইনজীবী মো.আব্দুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ জানান, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই রায় দিয়েছিলেন। এরপর নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। এদিকে আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করে।
আমিরুল ইসলাম ইমনের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। তার বাবার নাম মো. গফুর।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯৯ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আর্থিক অনটন ছিলো। পরে ২০০৩ সালে ঢাকায় এসে গার্মেন্টেসে কাজ শুরু করেন এই দম্পতি।
রাজধানীর পল্লবী থানার ৭ নম্বর সেকশনে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। সেখানে এসেও ২০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে আয়েশাকে প্রায়ই মারধর করতেন ইমন। যৌতুক দিতে না পারায় ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বকর সিদ্দিক রাজধানীর পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গ্রেপ্তার ইমন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এরপর ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে আমিরুল ইসলাম ইমন ও সৌরভ নামে আরেকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক। তবে রায়ে অপর আসামি সৌরভ খালাস পান।