ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বতিহালা গ্রামের এক কিশোরীকে ২ মাস ধরে এক বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, দুই মাস পূর্বে ঢাকা মিরপুর-২ এর একটি বাসায় কাজ করত ভুক্তভোগী সোনিয়া (১৫)। সাথেই একটি বাসায় থাকত শাহারুল ও তার মা সাজেদা। মাঝে মধ্যেই সোনিয়ার সাথে দেখা করতো শাহারুলের মা সাজেদা। সে সুবাদে শাহারুলের সাথে সম্পর্ক ও পরিচয় হয় কিশোরীর। এক পর্যায়ে ভিকটিম কিশোরীকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে শাহারুল। বাড়িতে আনার দুই মাস পরেও মেয়েটিকে বিয়ে করে নি শাহারুল। এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য সোনিয়ার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায় ছেলের পরিবার। ভিকটিম গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাণ রক্ষার্থে কৌশলে প্রতিবেশি আব্দুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে খবর পেয়ে ধোবাউড়া থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ছেলে, ছেলের মা ও ভিকটিমকে থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয়ে মিরপুর থানায় সাধারন ডায়েরি রয়েছে। তাদেরকে মিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।