কার্টুন বিতর্কের ফলে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মুসলিম-প্রধান দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কয়েকটি আরব দেশ ফরাসি জিনিস বয়কটের ডাক দিয়েছে। উত্তেজনা বাড়ছে। এই অবস্থায় উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে মিসর সফর করলেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনিভ ল্য দ্রিয়ঁ।
সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ”আমাদের নীতি হলো, ইসলামকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো। মহানবী হযরত মোহাম্মদ(সাঃ)-কে সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো। মুসলিমরাও পুরোপুরি ফ্রান্সের সমাজের অংশ।”
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসরের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর ল্য দ্রিয়ঁ বলেছেন, ”ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোর মন্ত্যব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। আমাদের সন্ত্রাসবাদী হুমকি দেয়া হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, অন্যত্রও উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। ফলে সকলের সামনে লড়াইটা একই।”
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসরের আল আজহার মসজিদের ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনি শুধু আল আজহার মসজিদের ইমামই নন, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রধান। অনেকের বিশ্বাস, বিশ্ব জুড়ে সুন্নি মুসলিমদের এটাই প্রধান ধর্মীয় সংস্থা। গত মাসে মাক্রোর মন্তব্যকে ইমাম ‘বর্ণবাদী ও ঘৃণাপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে ইমাম বলেছেন, ”আমাদের মহানবী(সাঃ)-কে অপমান করা মানা যেতে পারে না। যে ব্যক্তি তাকে অপমান করবে, আমরা তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাব। আমরা আমাদের বাকি জীবন সেই কাজেই লাগাব।”
তিনি ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদেরও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ”ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। আল আজহার ২০০ কোটি মুসলিমের প্রতিনিধিত্ব করে। আমি বলছি, জঙ্গিরা আমাদের প্রতিনিধি নয়। তাদের কাজের জন্য আমরা দায়ী নই।”
ফরাসি পররষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ”ইমামের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। ইমাম বলেছেন, যেখানে মতের মিল আছে, সেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।”
সূত্র : ডয়চে ভেলে