আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা (এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা) অনুষ্ঠিত হতে পারে। এমসিকিউ পরীক্ষার পর দুই মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার শেষ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র।
ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ শুক্রবার। তাই ১ ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ এই পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। আগের নিয়মেই পরীক্ষা নেয়া হবে বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। যদিও মন্ত্রণালয় পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন। কিন্তু সে প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে বেশি। ফলে এই নিয়োগটা পূর্বের নিয়মেই হবে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে গেছে। সময় বিলম্ব হলেও পরীক্ষার আয়োজনের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এই মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী আসছেন, তার অনুমোদন নিতে হবে। নতুন মন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা আয়োজন করতে কোনো বাধা থাকবে না।
এমসিকিউ পরীক্ষার পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সভা বসার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। লিখিত পরীক্ষার পর নতুন করে আরো ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২৪ লাখের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেছে। এ পরীক্ষায় নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা রয়েছে। এছাড়া পোষ্যকোটাসহ সকল কোটাই এখানে প্রয়োগ করা হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদটি তৃতীয় শ্রেণির পদ। সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছে। ফলে এখানে বিদ্যমান সকল কোটাই প্রয়োগ হবে।