বাংলাদেশে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সরকারের যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে নেই আওয়ামী লীগ ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের প্রবীণ নেতাদের নাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন করে আসছেন ৩১ জন নতুন নেতা। তার দেয়া তালিকা অনুযায়ী বিদায়ী মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন ৩৬ জন।
যদিও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। এর মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও মোস্তফা জব্বার নতুন মন্ত্রীসভাতেও স্থান পেয়েছেন।
তবে এ মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হয়নি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নুর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার।
মন্ত্রী হতে পারছেননা শ্রমিক ও সড়ক আন্দোলনে বারবার আলোচনায় উঠে আসা শাজাহান খানও। নানা ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে শিরোনাম হওয়া খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলামেরও আর মন্ত্রিসভায় থাকা হচ্ছেনা।
আওয়ামী লীগের শরীক দলের নেতা রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও হাসানুল হক ইনু নতুন মন্ত্রীদের তালিকায় নেই।
বিদায়ী মন্ত্রিসভার যারা নতুন মন্ত্রিসভায় নেই :
আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নূর, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, তারানা হালিম, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, আরিফ খান জয়, মুজিবুল হক, আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আসাদুজ্জামান নূর, এ এইচ মাহমুদ আলী, এ এইচ শাহজাহান কামাল, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মেহের আফরোজ চুমকি, বীরেন শিকদার, মুজিবুল হক চুন্নু, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, নুরুল ইসলাম বিএসসি, সায়েদুল হক, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মতিউর রহমান, লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরু, মশিউর রহমান রাঙ্গা, কাজী কেরামত আলী, ইসমত আরা সাদেক, মুজিবুল হক চুন্নু, শামসুর রহমান শরীফ, মীর্জা আজম।