ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার অস্ত্র মামলায় ঢাকা অতিরক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম তিন দিন এবং মাদক মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইরফানের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। আদালত শুনানির জন্য রোববার (৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
গত ১ নভেম্বর নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
২৬ অক্টোবর দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।