চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ আমেরিকায় যাচ্ছেন এই পিএসজি ফরোয়ার্ড।
কারণ দল থেকে তার নাম বাদ দেননি ব্রাজিল কোচ তিতে। কিন্তু বিষয়টি হজম করতে পারছে না পিএসজি।
নেইমারের নাম বাদ না দিলেও আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর যথাক্রমে ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য তার বিকল্প হিসেবে ডাকা হয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গোর স্ট্রাইকার পেদ্রোকে। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক ডা. রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, দলের সঙ্গে নেইমারকে রাখার কারণ হচ্ছে দ্বিতীয় ম্যাচেই তাকে মাঠে নামানোর সম্ভাবনা আছে। দলের সঙ্গে থেকে এক সপ্তাহ অনুশীলন চালিয়ে যাবেন তিনি।
এদিকে নেইমারকে ব্রাজিলের স্কোয়াডে দেখে খেপেছেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। রেনের বিপক্ষে চলতি সপ্তাহের শেষে খেলতে পারবেন না নেইমার। অথচ জাতীয় দলে ঠিকই রাখা হয়েছে তাকে। শুধু নেইমার কেন, আরেক ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও লিগের পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে থাকা রেনের বিপক্ষে পাবে না পিএসজি। কিন্তু এই ফরাসি ফরোয়ার্ডকেও ফ্রান্সের জাতীয় দলে রাখা হয়েছে।
দলের দুই মূল তারকা ছাড়াই খেলতে নেমে গত সপ্তাহে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হেরে গেছে পিএসজি। স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ খারাপ ফরাসি জায়ান্টদের কোচ টুখেলের। এর মধ্যে আবার এই দুই খেলোয়াড়কে তাদের নিজ নিজ জাতীয় দলে ডাকায় রীতিমত খেপেছেন তিনি।
টুখেল জানেন খেলোয়াড়দের পক্ষে জাতীয় দলের ডাক উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তবে সেখানে তাদেরকে সাবধানতার সাথে রাখা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। টুখেল বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ডেকে নেওয়া জাতীয় দলগুলোর অধিকারের মধ্যেই পড়ে। আমরা এখানে কিছুই করতে পারি না। কিন্তু যদি তারা ইনজুরিতে পড়ে এবং খেলতে না পারে, তাহলে আমি চাইব তারা না খেলুক। ‘
যে সময়টা ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার কথা, ঠিক সে সময় খেলোয়াড়দের এভাবে জাতীয় দলে ডেকে নেওয়া পছন্দ হয়নি টুখেলের। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যায়, এখন খেলোয়াড়দের সুস্থ হওয়ার সময়। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি তাদের যত্নেই রাখা হবে এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে। জাতীয় দলের দায়িত্বে যারা আছে তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখতেই হবে। ‘
এই মৌসুমে ধারাবাহিকভাবে ইনজুরি সমস্যায় ভুগছে পিএসজি। নেইমার ও এমবাপ্পে আগেই ছিটকে গেছেন। সর্বশেষ লাইপজিগ ম্যাচে মার্কো ভেরাত্তি এবং হুয়ান বের্নাট ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। শুধু কি তাই, দলের রক্ষণভাগের প্রাণ প্রেসনেল কিম্পেম্বে এবং অভিজ্ঞ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকেও পাবেন না টুখেল। দুজনেই বড় ধরনের চোটে পড়েছেন। এছাড়া মাংসপেশির ব্যথায় ছিটকে যেতে পারেন পাবলো সারাবিয়াও।
লাইপজিগের কাছে হেরে ২০১১ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কায় পড়েছে পিএসজি। অথচ দলের গুরুত্বপূর্ণ সব খেলোয়াড় ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন। টুখেলের চাকরি নিয়েই এখন টানাটানি পড়ে যাওয়ার যোগাড়।
এদিকে নেইমারকে না রেখে উপায় ছিল না তিতেরও। কারণ এরইমধ্যে তার প্রথম পছন্দের চার খেলোয়াড় ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন। এর মধ্যে দুই মিডফিল্ডার ফিলিপ্পে কৌতিনহো ও ফ্যাবিনহো এবং ডিফেন্ডার রদ্রিগো কাইয়ো চোটে পড়েছেন। আর ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও ছিটকে গেছেন করোনা পজিটিভ হওয়ায়। নেইমারকে তাই অন্তত দ্বিতীয় ম্যাচেই নামাতে চান তিতে।