সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের শেষ তিন ম্যাচের প্রত্যেকটি জিতেছে এবং পাঁচ ম্যাচের চারটি। আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাদের শেষ চার ম্যাচের প্রত্যেকটি হেরেছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় আবুধাবিতে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসী হায়দরাবাদ, আর সংশয়ে বেঙ্গালুরু। কিন্তু যেখানে হারলেই ছিটকে পড়তে হবে, সেখানে আত্মবিশ্বাস আর সংশয় খুব একটা কাজে লাগার কথা নয়। যেই দল সেরা দেবে, তারাই ফাইনালে যাওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
লিগ পর্বের দ্বিতীয় ধাপে হায়দরাবাদের সমন্বিত বোলিং আক্রমণ ছিল দেখার মতো। সন্দীপ শর্মা পাওয়ার প্লেতে বলতে গেলে নিয়মিত উইকেট নিয়েছেন। মিডল ওভারগুলোতে ব্যাটসম্যানদের জন্য ত্রাস ছিলেন রশিদ খান। ডেথ ওভারে থাঙ্গারাসু নটরঞ্জনের সঙ্গে জেসন হোল্ডার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন।
হায়দরাবাদ সমান সামর্থ্য দেখিয়েছে ব্যাটিংয়েও। সময় যত গেছে, ততই বিকশিত হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নার ও ঋদ্ধিমান সাহার ওপেনিং জুটি। তিন ও চার নম্বরে মানীষ পান্ডে ও কেন উইলিয়ামসন ভালো ফর্মে আছেন। যদিও মিডল অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের সেভাবে বড় পরীক্ষা দিতে হয়নি, তাই তাদের নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তাই টপ অর্ডার ভেঙে দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে চায় বেঙ্গালুরু।
অবশ্য এই লক্ষ্য পূরণের আগে বেঙ্গালুরু চাইছে টস জিততে এবং রান তাড়া করতে। কারণ এলিমিনেটরের আগে টানা চার ম্যাচ তারা হেরেছে প্রথমে ব্যাটিং করে। কিন্তু আগে যদি ব্যাট করতেই হয়, তাহলে আশঙ্কা তাদের মনে জায়গা করে নেবে শুরুতেই। কারণ মিডল ওভারে (৭-১৬ ওভার) তাদের রানরেট ৭.১৪, যা এই মৌসুমে আট দলের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। তাই বিরাট কোহলি, দেবদূত পাডিক্কাল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে শুরু থেকে রানের গতি বাড়াতে হবে। বোলিং আক্রমণে যুজবেন্দ্র চাহাল, মোহাম্মদ সিরাজ ও ওয়াশিংটন সুন্দর বেঙ্গালুরুর বড় ভরসা।
এই আসরে দুই দলের দেখায় সমানে সমান বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। প্রথম ম্যাচে কোহলিদের কাছে হেরেছিল হায়দরাবাদ। পরের দেখায় বেঙ্গালুরুকে হারান ওয়ার্নাররা। হায়দরাবাদের জন্য আরেকটি ব্যাপার আত্মবিশ্বাসের রসদ হতে পারে। ২০১৬ সালে এই বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হায়দরাবাদ। তবে যারাই জিতুক, তাদের জন্য রোববার আবুধাবিতেই অপেক্ষা করছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারা দিল্লি ক্যাপিটালস।