রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ বন্ধের নির্দেশ

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা লঙ্ঘন করায় রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধীনস্থ অন্য বেসরকারি কলেজগুলোতে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে কলেজটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। বর্তমানে সাতটি ব্যাচে ২২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় কলেজটি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন পায়নি।

প্রতিষ্ঠানের এ নিবন্ধন না থাকায় তাদের এমবিবিএস পাস করা চারজন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপ করতে না পেরে এক বছর বসেছিলেন। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কলেজ খোলা রাখা এবং বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত হয়। এতে কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে ঘাটতিগুলো পূরণ করতে বলা হয়েছিল। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পরিদর্শনের এসে তারা দেখেন সেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব স্বাক্ষরিত দু’টি চিঠি বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) কলেজে এসে পৌঁছে। একটি চিঠিতে ছাত্রভর্তি বন্ধ এবং অপরটিতে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধীনস্থ অন্য বেসরকারি কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উপ-সচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষর করেছেন।

জানতে চাইলে কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান সাধিন বলেন, সম্পূর্ণ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কলেজের ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গার ঘাটতি রয়েছে। বলা হয়নি কতটুকু জায়গা আছে। আবার বলা হয়েছে, গ্রন্থাগারের ২২০ জন শিক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে। কতজনের ব্যবস্থা আছে তা বলা হয়নি।

তিনি বলেন, কলেজের মোট শিক্ষার্থীই হচ্ছে ২২৫ জন। একইভাবে প্রত্যেক বিভাগে চার থেকে পাঁচজন করে শিক্ষক ঘাটতির কথা বলা হয়েছে। কতজন শিক্ষক আছে তা বলা হয়নি। আমাদের ৪৪ জন স্থায়ী ও ২৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক দেখানো আছে।

মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। এ আদেশের ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। রিট আবেদন করে আদেশটি স্থগিত করা হবে।

Share this post

scroll to top