ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে চাকরি নেয়ার মামলায় ছয় পুলিশ সদস্যের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।
রংপুর আদালতের মেট্রোপলিটন কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল কাদির জানান, পুলিশের চাকরি হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই বাছাইয়ে সন্দেহ হলে ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে কোতয়ালী থানায় দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ।
এরমধ্যে রংপুরের তারাগঞ্জের নেকিরহাটের নছির উদ্দিনের ছেলে কনস্টেবল মনোয়ার হোসেন (২৬) নীলফামারী জেলায়, একই উপজেলা খারুয়াবা ভেটুপাড়ার আশিকুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলম ওরফে মিনারুল (২৪) ইন্ডাস্ট্রিয়ালে, সদর থানার মমিনপুরের মহিষপুরের মোস্তাফিজার রহমান (২৩) ডিএমপি, পীরগঞ্জের শানেরহাটের প্রথম ডাঙ্গার খলিলুর রহমানের ছেলে নুরন্নবী মিয়া (২৩) বগুড়া এপিবিএন এবং সদরের মমিনপুরের খারুয়া বাধার আজহারুল ইসলামের ছেলে শফিউজ্জামান বিপ্লব (২৬) ও সদরের পালিচড়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব আলম সিলেট এপিবিএনে কর্মরত আছেন।
বৃহস্পতিবার রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শওকত আলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরি নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তারা চার্জশিট পর্যন্ত হাইকোর্টে জামিনে ছিলেন। আজ চার্জশিট আসার পর আমরা তাদের আদালতে হাজির করে জামিন চেয়েছিলাম। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।