দুদকের ভুয়া মহাপরিচালক গ্রেফতার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক পরিচয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অনৈতিক তদবির করার সময় গ্রেফতার হয়েছেন মো. কামালউদ্দিন নামের এক প্রতারক।

টাঙ্গাইলের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

দুদক সূত্র জানায়, বুধবার (৪ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইলের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. মোশারফ হোসেন টাঙ্গাইল সদর থানায় এই মর্মে জিডি করেন যে, জনৈক ব্যক্তি মোবাইলের (০১৬১১৫২৭৭৬৯ ও ০১৬১৫২১২২৮৮) দুদক ডিজি মো. জাকির হোসেন পরিচয় দিয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) দাফতরিক টেলিফোনে জমি সংক্রান্ত এক বিষয়ে অনৈতিক তদবির করেন। প্রকৃতপক্ষে দুদকের মহাপরিচালক জাকির হোসেন এ জাতীয় টেলিফোন করেননি।

জিডিতে আরও বলা হয়, এ জাতীয় কার্যকলাপ প্রশাসনিক কাজে যেমন জটিলতা সৃষ্টি করে, তেমনি দুদকের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ও দুদক বিশেষ কৌশলে এই প্রতারক দলের সদস্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মো. কামাল উদ্দীনকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আটক করে। তৎপরবর্তীতে স্থানীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে- প্রতারক মো. কামাল উদ্দীনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

উল্লেখ্য, দুদক কর্মকর্তা এমনকি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে এক বা একাধিক প্রতারক চক্রের সক্রিয়তা সতর্ক করে দুদক থেকে অসংখ্যবার গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়, দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করে। এ প্রতিষ্ঠানে কোনো ব্যক্তির একক অভিপ্রায় অনুসারে কাউকে যেমন অভিযুক্ত করার সুযোগ নেই আবার কাউকে দায়মুক্তি দেয়ারও সুযোগ নেই। তাই কোনো অবস্থাতেই প্রতারকদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে প্রয়োজনে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (০১৭১১৬৪৪৬৭৫) ও পরিচালক (মিডিয়া) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্যকে টেলিফোনে অবহিত করুন। এছাড়া স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো যেতে পারে।

Share this post

scroll to top