শুধুমাত্র বিদেশী ক্রিকেটাররাই থাকবেন না। নয়তো নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনে বিসিবি যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, অনেকটাই বিপিএলের মতো। যদি বলা হয় বিপিএল তাহলে ভুলও হবে না।
পাঁচ দলের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন স্থানীয় ৭৫ ক্রিকেটার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেছেন বিদেশী ক্রিকেটারদের ডাকা হবে না। তবে আয়োজনে কমতি রাখছে না বিসিবি। দলের মালিকানা বিক্রির জন্য স্পন্সর চেয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। রোববার আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপণের জন্য মাঠের স্বত্বও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বিপুল অর্থে চাওয়া হচ্ছে টুর্নামেন্টের স্পন্সরশিপেও।
রোববার শেষ হচ্ছে দলগুলোর স্পন্সর আবেদনের শেষ সময়। স্পন্সরের আগ্রহের উপর নির্ভর করছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত। স্পন্সর না পেলে বিসিবি নিজ খরচে তখন খরচের খাতও কমাবে। যদি পাঁচ দলেরই স্পন্সর পেয়ে যায় তাহলে জাঁকজমকপূর্ণভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিবি।
বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস শনিবার গণমাধ্যমে বলেন, ‘দলগুলোর জন্য আমরা সাড়া পাচ্ছি। শুনেছি অনেকেই আগ্রহী। অনেক কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টের বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্ট আহ্বান জানাবো। দুই একদিনের মধ্যে আমরা দরপত্র আহ্বান করবো। যেন ম্যাচগুলো আন্তর্জাতিক আবহে সম্প্রচার করতে পারে। আমাদের ব্রডকাস্ট আলাদা থাকবে, প্রোডাকশন আলাদা থাকবে ডিজিটাল কনটেন্টও আলাদা থাকবে। এমন হতে পারে কেউ ডিজিটাল কনটেন্টের জন্য নিতে পারে। অথবা ব্রডকাস্ট বা প্রোডাকশন নিতে পারে আলাদা আলাদা।’
মধ্য নভেম্বরে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও বিসিবি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। জালাল ইউনুস অবশ্য ধারণা দিয়ে রাখলেন, ‘যেহেতু আমরা চেষ্টা করছি আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টের জন্য সেহেতু কিছু সময় বিলম্ব হতে পারে। ১৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ৭ থেকে ১০ দিন পেছাতেও পারে।’ স্পন্সর পাওয়ার পরই টুর্নামেন্টের দল গঠন, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হবে।