নিজস্ব প্রতিনিধি : অরিয়েন্ট ড্রেসেস লিমিটেডের গার্মেন্টসকর্মী রফিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তির দাবীতে এবং নিরীহ শ্রমিকদের পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদে ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ৬টি সংগঠন।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরামের সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমীন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালেহা ইসলাম সান্তনা, ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, গার্মেন্টস নেতা জায়েদ ইকবাল খান, মাহবুব জুয়েল ও নিহত রফিকুলের মা কলসুমা বেগম।
বক্তারা বলেন, গত ১৩ মার্চ অরিয়েন্ট ড্রেসেস লিমিটেডের আয়োজনে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সিংরাইলে কোম্পানির মালিকানাধীন গ্রীন ভিলেজ পার্কে পিকনিক চলাকালীন তাজ ট্রান্সপোর্টের মিনিবাসের ভেতর গার্মেন্টস কর্মকর্তা শরীফ মিজনুল হক, ইকবাল হোসেন ও লিটন গার্মেন্টসকর্মী রফিকুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ হত্যা করে। এ ব্যাপারে রফিকুলের মা কুলসুমা বেগম ১৪ মার্চ ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসল হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে প্রত্যক্ষদর্শী গার্মেন্টসকর্মী জাহিদ, শামীম ও ফারুককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে জোরপুর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করেন। এনিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের মুখে প্রধান আসামী শরীফ মিজুনুল হককে গ্রেফতার করে। কিন্তু অপর দুই আসামী ইকবাল হোসেন ও লিটন এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং অরিয়েন্ট ড্রেসেস লিমিটেডে নিয়মিত কাজ করছে। মামলার বাদী কুলসুমা বেগম ও নিহত রফিকুলের বাবা আব্দুল কুদ্দুস অবিলম্বে প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গ্রেফতাকৃত নিরীহদের অব্যহতি প্রদানের দাবী জানিয়ে বলেন, তাদের ছেলের মতো আর যেন কোনো বাবা-মায়ের কোল এভাবে খালি না হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধান হত্যাকারী শরীফ মিজানুল হককে ১নং আসামীভূক্ত করে অবিলম্বে ইকবাল হোসেন ও লিটনকে গ্রেফতার এবং ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী জাহিদুল ও শামীমকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে সাক্ষী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানানো হয়।