নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রশাসনিক কারনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে বৃহস্পতিবার রাতে ক্লোজড করা হয়েছে, থানায় নতুন ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছেন আব্দুল কাদের মিয়া।
উল্লেখ্য, ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগকারীর কাছ থেকে মামলা রেকর্ড বাবদ টাকা গ্রহণের অভিযোগ উঠে।
জানাযায়, জমি দখল, জানমালের ক্ষতির প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগকারীকে ‘টাকা আনছেন- টাকা ছাড়া তো আমি কাজ করি না’এমন কথা বলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। আসামি ধরে মামলা রেকর্ড করলে ২০হাজার টাকা লাগবে। ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের কাকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলু ওসির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, আসাদুজ্জামান লুলুর পৈতৃক জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ, ফলজ বাগান ও পানের বরজ চাষ করেন। প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার পরিবারের সাথে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে লুলুর বাড়িঘর ভাংচুর হামলা জমাজমি দখল করার পায়তারা করায় গত ২১ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি থানা থেকে। পরদিন ২২ অক্টোবর নয়নসহ তার লোকজন তাণ্ডব চালিয়ে লুলুর বাড়ির বাগানের গাছপালা ও পানের বরজ ভাংচুর করে, বাড়ির টিউওবয়েলটি নিয়ে যায় এবং জমিতে টিনের বেড়া দেয়। এ সময় লুলুর ভাই আবু রায়হান রুমেল বাধা দিয়ে থাকে মারধর করে। খবর পেয়ে লুলু ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল হালিম থানায় গিয়ে ওসিকে বিষয়টি জানালে, তিনি (ওসি) তাদের বলেন, টাকা লাগলে ২০ হাজার; টাকা ছাড়া কাজ হবে না। পরে লুলু ১৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে ওসি বলেন ২০ হাজারেই লাগবে। নিরুপায় হয়ে লুলু ১৭ হাজার টাকা দেন ওসিকে। পরে কনস্টেবল এমদাদকে ডেকে ওসির বলেন, ৫ জনকে ধরে নিয়ে আসতে। এ সময় এমদাদকে আরও ১৫০০ টাকা দিতে হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদেরকে আরো ৩ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়েছে বলে ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন। লুলুর বাড়িতে ভাংচুর ও গাছপালা কেটে নেওয়া নয়নের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নয়ন তা অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমাদেরই।