মাত্র ৩ কার্যদিবসে মাদক মামলার রায়

খুলনায় মাত্র ৩ কার্যদিবসে মাদক মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক ড. মোহাম্মদ আতিকুস সামাদ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামিকে পৃথক দুটি ধারায় ছয় মাস পরে এক বছরের কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি সম্রাট আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মাত্র তিন কার্যদিবস রায় ঘোষণাকে বাংলাদেশের প্রথম এবং যুগান্তকারী-মাইলফলক হিসেবে দেখছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নগরীর লবণচোরা থানা পুলিশ স্থানীয় মোক্তার হোসেন বাজার মেইন রোড এলাকার কিউপিএস ফার্মেসির সামনে থেকে আসামি সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা এবং ছয় পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় লবণচোরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আকরাম হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। তিনি স্থানীয় খানজাহান আলী সেতু সংলগ্ন মুক্তার হসেন সড়কের মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আরও চারটি মাদক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় তদন্ত শেষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি লবণচরা থানার এসআই নাসিরুদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২১ অক্টোবর খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. আতিকুস সামাদ চার্জ গঠন করেন। ২২ অক্টোবর মামলার ৭জনের মধ্যে ৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ২৫ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে যুক্তিতর্ক শেষ হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাহারা ইরানি পিয়া বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। বাংলাদেশের দ্রুততম সময়ে রায় ঘোষণার ঘটনা এ প্রথম। মাইলফলক হিসেবে থাকবে এ রায়। এ ধরনের রায়ের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নজির সৃষ্টি হলো। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ ৭২৯ টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সর্দার ইয়াসির আরাফাত রানা বলেন, সব পক্ষের সহযোগিতার কারণে এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে আসামিপক্ষ কোনো ধরনের অন্যায় বা অবিচারের শিকার হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Share this post

scroll to top