ময়মনসিংহ থেকে শুরু : প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে বাফুফে

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৃণমূলের ফুটবল উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে বাফুফে। ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে শুরু হয়েছে ফেডারেশনের তৃণমূল ফুটবলার তুলে আনার কার্যক্রম।

বাছাই পর্ব পর্যবেক্ষণে হাজির হয়ে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক বললেন, উঠে আসা ফুটবলারদের এবার হারিয়ে যেতে দিবেন না তিনি। আর কিশোর ফুটবলারদের লক্ষ্য এখান থেকে প্রতিভা প্রমাণ করে বাফুফের ফর্টিস একাডেমীতে জায়গা করে নেয়া।

ব্রক্ষপুত্র পাড়ে অপেক্ষারত ৭৫ জন। বাফুফের নজরে পড়লেই ফিতা কাটবেন ফর্টিস একাডেমীতে ঢোকার। অপেক্ষার পালা ফুরোয় ১৮ না পেরোনো ফুটবলারদের। নির্বাচিত হয়েই ফুটবলার তুলে আনার মিশনে প্রথম ময়মনসিংহে পা রাখলেন আতাউর রহমান মানিক।

নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল ফুটবল উন্নয়নে কাজ করবেন এবার। ফর্টিসকে হতে দিবেন না হারিয়ে যাওয়া আরেকটি সিলেট একাডেমী। বাফুফের ডেভেলপমেন্টস কমিটির চেয়ারম্যান জানালেন একে একে যাবেন দেশের সব জেলায়।

বাফুফে ডেভেলপমেন্টস কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক বলেন, ‘আমরা তাকে সহযোগীতা করব। তাকে দিয়ে ভাল কিছু করার চেষ্টা করব। কিন্তু কাজটা করতে তার। এটা প্লেয়ারের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে।’

মাঠে প্রীতি ম্যাচ শুরু। ফুটবলারদের পায়ে তীক্ষ্ণ নজর পল স্মলির। পুনরায় বাফুফের টেকনিকাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেয়ার পর এটা যে তারও প্রথম প্রতিভা বাছাই কার্যক্রম। ময়মনসিংহে ছুটে এসে জানালেন। বেশ কিছু ফুটবলার মনে ধরেছে তার।

বাফুফে টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটাজিক ডিরেক্টর পল স্মলি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। কিন্ত সুযোগের অভাবে তারা উঠে আসতে পারেনা। এভাবে যদি বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কার্যক্রম চালানো যায়। তবে নিশ্চিত ভাবে প্রতিভান ফুটবলার খুঁজে পাওয়া সম্ভব’

৩৫০ জন থেকে উঠে এসেছে ৭৫ জন। এদের স্বপ্ন বহু দূর। এক ফুটবলার বলেন, ‘আমরা ভাল খেলতে পারি বাট ভাল জায়গায় যাওয়ার মত পজিশন নেই আমাদের’

আরেক ফুটবলার বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা একদিন বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সি পরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করব’। ২১ দিন পর এখান থেকে ৩০ জন ফুটবলার বাছাই শেষে যোগ দিবেন বাফুফের বয়সভিত্তিক ক্যাম্পে।

Share this post

scroll to top