কিশোরগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ১০ জন

কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের কাটখাল হাজিপাড়া গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।

শনিবার দুপুরে রান্না করার সময় গ্যাসের পাইপের লিক থেকে পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কাটখাল ইউপি চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলাম জানান, হাজিপাড়ার দরিদ্র কৃষক আবদুস সালামের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আবদুস সালামের স্ত্রী শিফা বেগম (৬৫), তিন ছেলে কামাল (৩৫), আনোয়ার (৩২), জামাল (২৮), মেয়ে তাসলিমা (২৫), জুয়েনা (২০), তাসলিমার দুই মেয়ে উম্মে হানি (৩), উম্মে হাবিবা (৩ মাস) ও আবদুস সালামের বড় ছেলে আবদুল আলীর মেয়ে পারভিন (১৫) ও তহুরা (১০) অগ্নিদগ্ধ হয়। অগ্নিদগ্ধ ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, তিন মাসের একটি শিশু ছাড়া বাকি সবার শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের সবাইকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে শিফা বেগম, জামাল মিয়া ও উম্মে হানির অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া আরো দু’জনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শী কাটখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শামসুল হক রানা জানান, হাজিপুর গ্রামের আবদুস সালামের ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে ছিদ্র ছিল। ওই ছিদ্র দিয়ে আগেই গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে ছিল। সালামের স্ত্রী শিফা বেগম রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালাতে পারছিলেন না। এ সময় তারা বাইরে থেকে আগুন নিয়ে চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী গিয়ে ঘরের আগুন নিভিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

পুলিশের কাটখাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো: মাসুদ মিয়া জানান, দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে চার-পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, গ্যাস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সিলিন্ডার থেকে যে প্লাস্টিকের পাইপটি চুলায় গেছে। সেটিতে কোনো সমস্যা রয়েছে কী-না, এ বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে অনেকে খেয়াল করে না। আর এ অসাবধানতার কারণেই এতজন লোক দগ্ধ হয়েছে।

Share this post

scroll to top