প্রতারণার মাধ্যমে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে শেরপুর জেলার নকলা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর সবুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদি হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে মামলা হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন।
সবুর উদ্দিনের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা শ্যামগঞ্জ উত্তর বাজারে। তিনি ওই এলাকায় আব্দুল হাই এর ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা পুলিশ বিভাগ এ ঘটনা জানার পর গেল বুধবার ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আদালতের আদেশের নথিপত্র পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই’র (জামালপুর-শেরপুর) দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর (এডমিন) সৈয়দ মইনুল হোসেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মুখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ২০১৭ সালে জেলার নালিতাবাড়ী থানায় ওই নারীর করা একটি শ্লীলতাহানীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর সবুর উদ্দিন। মামলা তদন্ত করার সুবাদে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বাদীর স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটায় সবুর। পরবর্তীতে অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগীকে বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি ও আস্থা সৃষ্টি করে অপরিচিত দু’জন লোক নিয়ে একটি নীল কাগজে লেখালেখি করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায়।
পরে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সবুর ভুক্তভোগীকে নিয়ে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের উত্তর গড়কান্দা আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় কলিমউদ্দিনের বাড়ি ভাড়া নেয়। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকতেন। এ অবস্থায় সবুর বদলি হয়ে প্বার্শবর্তী উপজেলা নকলায় চলে যান। পরে গত ১ অক্টোবর নকলা থানায় গিয়ে ওই নারী তার ভরণপোষণের দাবি করলে সবুর তাকে বিয়ে করেন নি বলে সাফ জানিয়ে দেন।