সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা ও দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধানও হয়েও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না তার আত্মীয়-স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতাদের।
দীর্ঘ ১৭ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার স্বজনরা দেখা করতে পারছেন না। অন্যদিকে প্রায় চার মাস ধরে দলটির সিনিয়র নেতারা দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়ার সাথে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে সর্বশেষ গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বিএনপির চেয়পারসসেনর প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানান।
আবেদনে বলা হয়- বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি। তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদেরকে দেখা করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছি যে, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এমতাবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বিএনপির সিনিয়র ৭ জন নেতা তার সাথে দেখা করতে ইচ্ছুক। এব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
এরআগে গত ১৬ ডিসেম্ব ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার আবেদন করলেও অনুমতি পাননি।
এর আগে পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাথে গত ১২, ২২, ২৮ ডিসেম্বর দেখা করার আবেদন করলেও অনুমতি পাননি। এছাড়া বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে সিনিয়র চিকিৎসকদের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করলেও দেখা করার অনুমতি পাননি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় এক বছর ধরে পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্জন বন্দি খালেদা জিয়া। তার মুক্তির জন্য দীর্ঘ এই সময়ে আইনে লড়াইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করে আসছে বিএনপি এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। কিন্তু আজ অবধি তার মুক্তির কোনো কিনারা হয়নি। এমতাবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি।