রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের কাছে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে গোলাগুলি হয়েছে উল্লেখ করে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ফেসবুকে পোস্ট দেন।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ঘটনার কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন ওসি।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, বাজারের কাছে একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা আরো কর্মী এনে আতংক সৃষ্টি করে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলের কাছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের বাসা। তার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের একজন বলেন,‘স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা ক্যাম্পটি ভাঙতে এসেছিল।’
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। তিনি বলেন, আমি এসে শুনি, আমার সাথে দেখা করতে আসা অপেক্ষমান কয়েকজনের উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।