খায়রুল আলম রফিক : ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা । মর্যাদায় প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন, এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ । বিচক্ষণ, অনুকরনীয়, অনুসরনীয় , মহানুভব জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুপরিচিত মেয়র আনিছ।
জনদরদি, সাধারণ মানুষের খুবই কাছের হিসাবে পরিগনিত তিনি । দুই মেয়াদে তিনি প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরবাসীর সুবিধার্থে ৯টি ওয়ার্ডে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। অধিকাংশ মাটির রাস্তা আজ আনিছুজ্জামানের হাত ধরে পাকা হয়েছে । কেবল রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারই নয় করেছেন , রাস্তার লাইট প্রতিষ্ঠা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা,সিসি ক্যামেরা স্থাপন উন্নয়নসহ অনেক কাজ হয়েছে তার হাত ধরে। ২৪ ঘন্টা নিউজের সাথে
আলাপকালে মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, দুই মেয়াদে ত্রিশাল পৌরসভার দায়িত্ব পালন করে রাস্তাঘাট, হাট বাজার, শিক্ষা , স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। পৌরসভাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছি। মেয়র বলেন, উন্নয়নমূলক কাজে আমার আন্তরিকতার কমতি নেই। সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের ফলশ্রতিতে । ত্রিশাল শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, ফুটপাত দখলদারদের উচ্ছেদ, খাসজমি দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি বলেন মেয়র আনিছ ।
মেয়র বলেন, ১৯৯৭ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে যা হয়নি তা দুই মেয়াদে করতে সক্ষম হয়েছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রূপরেখা দিয়েছেন সে লক্ষ্যে কাজ করছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই এখন উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। কেউ বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। মেয়র বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে ত্রিশাল পৌরসভা। ত্রিশাল পৌরসভায় দুর্নীতি অনিয়ম করার সুযোগ নেই । প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে এলাকাকে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত করার চেষ্টা করছি। মাদক বিক্রেতা এবং ইভটিজারদের প্রতিহত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে সভা-সমাবেশ করছি। পৌর এলাকায় এখন সন্ত্রাস নেই বললেই চলে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি। কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত এবং গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছি। শহরের চিকিৎসা কেন্দ্রেগুলোতে সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পৌরসভার তদারকি টিম রয়েছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন।
মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে যা সামগ্রিক
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছেন। বর্তমান সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা এখন আমাদের হাতে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমূখী শিল্পায়ন, শত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ।
দুঃস্থ্, এতিম, অসহায় পথ-শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করা হয়েছে জাতিসংঘে। নারী বঞ্চনার তিক্ত অতীত পেরিয়ে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেকদূর এগিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ। আর এই শিল্পের সিংহভাগ কর্মী হচ্ছে নারী। ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশে গ্রামীণ উন্নয়নে ও নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। আর ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে আশিভাগের উপর নারী। বাংলাদেশ সরকার নানাভাবে নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। ত্রিশাল পৌরসভাও এসেছে ইন্টারনেটের আওতায়। শিল্প কৃষি আধুনিক হওয়ায় জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে । বিশ্ব অর্থনীতির ধারার বিপরীতে আমদানি-রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টাকা নয় বছর ধরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকে মানবিক দেশ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ ।দেশে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি । সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ।