তানিউল করিম জীম, বাকৃবি প্রতিনিধি :“বিশ্ব ডিম দিবস ২০২০” পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ। এ উদ্দেশ্যে ১২ অক্টোবর (সোমবার) এক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এবারের বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল ডিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা প্রচার, সমাজ ও দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ডিমের অবদান নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, পশুপালন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, ডিএলএস এর ডিজি ডা. আব্দুল জব্বার শিকদার, বিএলআরআই এর ডিজি ড. নাথুরাম সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ডিম খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় এবং বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধেও ডিমের পুষ্টিগুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ আজ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। যার পিছনে পশুপালন অনুষদীয় গ্র্যাজুয়েটদের অবদান অনস্বীকার্য। মানুষের মধ্যে ডিমের পুষ্টিগুণ প্রচার ও এর উৎপাদন বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী বিভিন্ন সংস্থাকে আরও উদ্যোগী ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আলী ইমাম বলেন, ডিম শুধু যে খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে তাই-ই নয়, এ পেশার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, দারিদ্রতা দূর হয়েছে। তিনি বলেন গত বছর দেশে ডিম কেন্দ্রিক বাণিজ্য হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার ৭২০ কোটি টাকার মত। এ বছর তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাপাত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের ঋণ মওকুফ, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সারওয়ার জাহান, ওয়াল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আলী ইমাম এবং পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরীসহ আরোও অনেকে।