মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল গ্রামে মোরগী ব্যবসায়ী রুশন মিয়া (৩২) নামের এক বখাটে যুবকের হাতে চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ঘটলেও পরদিন ৩১ ডিসেম্বর কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বখাটে রুশন মিয়া ভানুবিল গ্রামের মৃত কলিম মিয়ার ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কমলগঞ্জ থানায় করা নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ সূত্রে বুধবার বিকেলে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদমপুর ইউনিয়নের উত্তর ভানুবিল গ্রামের মৃত কলিম মিয়ার ছেলে বখাটে মোরগী ব্যবসায়ী রুশন মিয়া (৩২) গত রোববার সকাল আনুমানিক ১১টায় একা পেয়ে বাড়ি থেকে ছনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেীণর ছাত্রীকে (১০) ডেকে নিয়ে পাশের কামারছড়া রাবার বাগানের নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরে পরিবার সদস্যদের নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে মৌলভীবাজারে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার পরপরই বখাটে রুশন মিয়া পালিয়ে যায়।
সোমবার নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রুশন মিয়াকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। গত মঙ্গলবার কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সাথে কথা বলে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল ভানুবিল গ্রামে তদন্ত করেন। এ দিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম ধর্ষণ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিন প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন বাকি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ডাক্তারী পরীক্ষার প্রতিবেদন।
নির্যাতিতার মা সালাতুন বেগম জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর বখাটে রুশন মিয়া আমাদেরকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি আপোষ নিস্পত্তির জন্য জোর অনুরোধ করে। আমরা এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে রুশন মিয়া আমাদের বাড়িঘর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য অভিযুক্ত রুশন মিয়ার সাথে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।