করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মুমিন নামের এক গাড়িচালক।
রোববার (১১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত আগামী ২১ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এ মামলার ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের হোতা হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। আটজনই কারাগারে আছেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত। গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্তের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে তা সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।