শিক্ষক আবু সাঈদ সদর উপজেলার দীঘারকান্দা কাদুর বাড়ী গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে। সে দীঘারকান্দা আদর্শ মডেল স্কুলের পরিচালক ও শিক্ষক।
প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী প্রেমিকা শিক্ষক আবু সাঈদ পরিচালিত দীঘারকান্দা আদর্শ মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করেন পাচ বছর ধরে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, সদর উপজেলার ভাটি বাড়েরার পাড় ঘাগড়া গ্রামের এক নারী শিক্ষিকার সাথে আদর্শ মডেল স্কুলের পরিচালক আবু সাঈদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বিয়ের আশ্বাসে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম করার সময় আবু সাঈদ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেছেন। আবু সাঈদ ও শিক্ষিকার প্রেমের বিষয়টি বিষয়টি পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে জানাজানি হয়।
সম্প্রতি অন্য একটি মেয়ের প্রেমের খপ্পড়ে পড়ে আবু সাঈদ ওই মেয়েকে প্রত্যাখান করেন। পরে ওই শিক্ষিকা বিয়ের দাবিতে সাঈদের বাড়িতে কয়েক দফা অবস্থান করে। এমন অবস্থায় গত দুই মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন শিক্ষক আবু সাঈদ।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার ( ৬ অক্টোবর) প্রেমিকা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছে। প্রতারক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে শিক্ষিকার মা বলেন, আমার মেয়েকে আবু সাঈদ বিয়ে করবে বলে কথাবার্তা সব ঠিকঠাক ছিল। গত রোজার ঈদে আমি তাদের বাড়িতে ইফতার পাঠিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। তারাও আমার মেয়েকে শাড়ি-কাপর কিনে দিয়েছে। এর মধ্যেই করোনা আসলো। করোনা অজুহাতে ৫/৬ মাস দেরি করছে। এখন সে বিয়ে করবে না বলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। আমার মেয়ে যদি আত্মহত্যা করে বা কোন কিছু হয়। আমি তাকে ছাড়ব না।
এবিষয়ে আবু সাঈদের ভাতিজা রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, তার চাচা ময়মনসিংহের বাহিরে রয়েছেন। তবে প্রেম করে প্রতারনার বিষয়ে তার জানা নেই বলেও জানান।