একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। ১৪০টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে মাশরাফি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২১০ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্টের এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ পেয়েছেন সাত হাজার ৮৮৩ ভোট। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের এ বিজয়ে তার ভক্ত-সমর্থকদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তার দল রংপুর রাইডার্সও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফিকে তারা বিপিএলে খেলতে যাওয়া প্রথম এমপি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটের সাথে আপোষ করতে চান না বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনের বিজয়ী প্রার্থী মাশরাফি। নির্বাচনের পরের দিন নড়াইলে তার অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তার কথায়, ‘খেলার মাঠের মতো করেই সফল হতে চাই রাজনীতির মাঠে, তবে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোনোভাবেই ক্রিকেটের সাথে সমঝোতা করবেন না।’
খেলাধুলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৫ তারিখ থেকে বিপিএল আছে। আজকের পর থেকে পুরো ফোকাস সেখানে নিয়ে যাবো। এখন আমার মনের দাবি হলো বিশ্বকাপ পর্যন্ত সুস্থ থেকে, পারফরমেন্স ঠিক রেখে বিশ্বকাপ খেলা।’
এবারের বিপিএলে সবচেয়ে কম সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে দলগুলোকে। শুধুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত জাতীয় ইস্যুর গুরুত্ব, তাৎপর্য্য এবং ডামাডোলের কারণে হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) কারণে দলগুলো স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিয়ে অনুশীলন শুরু করতে পারেনি। ২৭ ডিসেম্বর শিরোপা নির্ধারণের পরপরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ।
এছাড়া আরো একটি কারণও রয়েছে। সাত দলের বেশিরভাগ কোচই বিদেশী। খালেদ মাহমুদ সুজন (ঢাকা ডায়নামাইটস), মোহাম্মদ সালাউদ্দীন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) আর নুরুল আবেদিন নোবেলই (চিটাগাং ভাইকিংস) শুধু বাংলাদেশী কোচ। বাকি চার দলের কোচ চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স (অস্ট্রেলিয়ান টম মুডি), খুলনা টাইটান্স (শ্রীলঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে), সিলেট সিক্সার্স (পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস ) এবং রাজশাহী কিংস (দক্ষিণ আফ্রিকান ল্যান্স ক্লুজনার) রয়েছেন বিদেশে।
ফলে ঢাকা ডায়নামাইটস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর চিটাগাং ভাইকিংস স্থানীয় কোচদের অধীনে প্রস্ততি শুরু করতে পারে। তবে বাকি চার দলকে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এক দুই দিনের মাঝে সাত দলের বিদেশী ক্রিকেটাররা ঢাকায়া আসতে শুরু করবে। তাতে বিপিএলের আগে হাতে গোনা দু-তিন দিন প্রাকটিস করতে পারবেন ক্রিকেটাররা।