বসবাসের জন্য বিশ্বের বহু দেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের একটি দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে কত মানুষ আশ্রয় চায়?
বিবিসি নিউজের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী শুধু গত নভেম্বরেই ছোটো নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে ঢোকার চেষ্টা করেছে অন্তত ২৩০ জন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে আসার চেষ্টাকে ‘বড় দুর্ঘটনা হিসেবে’ আখ্যায়িত করেছেন।
তার মতে প্রকৃত অর্থে যাদের আশ্রয় প্রয়োজন তাদের জন্য যুক্তরাজ্যের দায়বদ্ধতা আছে কিন্তু সে সুযোগে কোনো অপরাধীকে সুযোগ দেয়ার পক্ষে নন তারা।
কত আশ্রয় প্রার্থী আছে সেখানে?
২০১৭ সালে ২৬ হাজার ৩৫০ জন যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছে।
এ সংখ্যা জার্মানিতে ১ লাখ ৯৮ হাজার ২২৫ আর ইটালিতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫০ জন।
সাধারণত যুক্তরাজ্য নিজ দেশে ধর্ম, বর্ণ, জাতীয়তা বা রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য ভয়ভীতি বা নির্যাতনের কারণে বসবাস করতে পারেনা এমন ব্যক্তিদের শরণার্থী মর্যাদা দিয়ে বসবাসের অনুমতি দেয়।
কিভাবে দেশটিতে আবেদনকারীরা পৌঁছায় তার কোন বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়না কিন্তু মাইগ্রেশন এডভাইজরি কমিটির একটি রিপোর্টে কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
কোথা থেকে আসে আশ্রয় প্রার্থীরা?
হোম অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যেসব দেশ থেকে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বেশি আশ্রয়ের অনুমতি পেয়েছে তার শীর্ষ দশটি দেশ হলো:
১. ইরান
২. পাকিস্তান
৩.ইরাক
৪.ইরিত্রিয়া
৫. বাংলাদেশ
৬. সুদান
৭.আফগানিস্তান
৮. ভারত
৯.সিরিয়া
১০. নাইজেরিয়া
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে এমন আবেদনগুলো বিবেচনা করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বিদায়ী বছরের শেষ নাগাদ ২৪ হাজার ৫৫৭টি আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিলো।
এসব ক্ষেত্রে দেয়া সিদ্ধান্ত আবার আদালতে চ্যালেঞ্জও হতে পারে।
বিশেষ করে যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয় তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।